নতুন রাস্তা তৈরী হতে না হতেই উঠছে পিচের চাদর : উন্নয়নে ক্ষোভ এলাকাজুড়ে

26th October 2020 8:34 am বর্ধমান
নতুন রাস্তা তৈরী হতে না হতেই উঠছে পিচের চাদর : উন্নয়নে ক্ষোভ এলাকাজুড়ে


পার্থ ব‍্যানার্জী ও মহঃ খান ( জামালপুরে ) : গ্ৰামের গুরুত্বপূর্ণ পিচের রাস্তা তৈরী হতে না হতেই উঠে যাচ্ছে পিচের চাদর । উৎসবের মধ‍্যেই এধরনের উন্নয়ন ঘিরে ক্ষোভ ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের বেরুগ্ৰাম পঞ্চায়েতের মাঠ নসিপুর এলাকায় । রাস্তা তৈরীর রোলার আটকে রেখে কাজ বন্ধ করে দিলেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী । জানানো হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে । সমস‍্যার সমাধান না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়েছেন স্থানীয়রা । 

জানা গেছে , জেলা পরিষদের উদ‍্যোগে গ্ৰাম নসিপুর থেকে দেরিয়াপুর অবধি ৩ কিমি পিচের রাস্তা তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে । প্রথম থেকে কাজের গুনগত মান নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন এলাকাবাসি । পিচের রাস্তা তৈরীর নামে কালো রঙের জল ঢেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ । আগের রাস্তা থেকে ধুলো ময়লা কিছু পরিষ্কার না করেই পিচ ঢেলে দিচ্ছে ঠিকাদারের কর্মীরা । কৃষি প্রধান এলাকার এই রাস্তা দিয়ে একটা ট্রাকটর যেতেই পিচের চাদর উঠে গেছে । এমনকি হাতে করে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে পিচের চাদর । অত‍্যন্ত নিম্মমানের কাজ হচ্ছে । কাটমানির আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলেছেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা  । প্রশাসনিক নজরদারির দাবীতে সোচ্চার কৃষি প্রধান এলাকার মানুষজন । লক্ষ লক্ষ টাকা ব‍্যায় দেখিয়ে এই তিন কিলোমিটার রাস্তা তৈরী হচ্ছে । একদিকে তৈরী হচ্ছে অন‍্যদিকে পিচের আস্তরণ উঠে যাচ্ছে । টাকার নয়ছয় হচ্ছে উন্নয়নের নামে বলে অভিযোগ । তদন্তের দাবী জানিয়েছেন সকলে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।